অনেক অব্যক্ত কথা বুকে নিয়ে লোকচক্ষুর অন্তরালে বসেছিলেন নিভৃতচারী একজন কবি। কিন্তু রক্ত-মাংসের শরীর নিয়ে কতক্ষণ বসে থাকা যায়? যখন শহরের সব ফুটপাত-রাজপথ হয়ে যাচ্ছে নিত্যপণ্যের বাজার, যখন সুবর্ণচরে ধর্ষিতার আত্মচিৎকারে আকাশ-বাতাস ভারি হয়ে যায়, যখন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সোনার ছেলের ধর্ষণে হয়ে যায় সেঞ্চুরি, যখন স্বাধীন মাটিতে গর্জে উঠেছিল পিলখানা, ঝাঁজরা হয়ে গিয়েছিল সাতান্নজন চৌকস সেনা অফিসারের বুক, যখন রানা প্লাজার নিচে চাপা পড়েছিল শত-শত খেটে-খাওয়া মানুষ, যখন সমাজ-রাষ্ট্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে পড়ছে দুর্নীতিনামক সংক্রামক ব্যাধি, তখন আর যাইহোক একজন রক্ত-মাংসের মানুষ হয়ে নির্বাক বসে থাকা যায় না।
আর তিনি তো একজন কবি। বুকের মধ্যে আঁচড়ে পড়েছিল অসংখ্য কথার ঢেউ। যা স্বাভাবিকভাবেই কাউকে না জানিয়ে থাকা যায় না। তাই কবির ইচ্ছায় অসংখ্য লেখার ভিতর থেকে আপনাদের সামনে তুলে আনলাম অমূল্য কিছু কবিতার বাণী। আশা করি, পাঠকের হৃদয়ে ঠাঁই করে নেবে ‘হৃদয়ের ক্লান্তিলগ্নে’ নামক বইয়ের প্রতিটি কবিতা।